ছাত্র নেতাদের মুক্তি না
দেওয়া হলে ঈদ করব
গনভবনের সামনে- নুরুল
হক নুরঃ
বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্বয়ক ও সাবেক ডাকসু ভিপি নুরুল হক নুর জানিয়েছেন, ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের ৫৬ জন গ্রেফতারকৃত ছাত্রনেতাদের মুক্তি না দিলে তিনি ঈদ করবেন গণভবনের সামনে।
ভারতীয় আগ্রাসন বিরোধী আন্দোলন থেকে গ্রেফতারকৃত ছাত্র অধিকার পরিষদের ৫৬ জন ছাত্র নেতার মুক্তির দাবিতে আজ কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে অভিভাবক সমাবেশে এই কথা বলেন সাবেক এই ভিপি।
এসময় নুরুল হক নুর গন মাধ্যমকে জানান যে, বাংলাদেশে আজ একটি ভয়ার্ত পরিবেশ সৃষ্টি হইছ। কিন্তু তাতে তার এবং তার সংগঠনের নেতাকর্মীদের মনোবল দূর্বল হয়নি। এসময় তিনি আরো জানান যে, সরকার যদি ভেবে থাকে যে এই ৫৬ জন ছাত্র নেতাকে গ্রেফতার করে দেশের ভেতরে আতংক সৃষ্টি করবে তা কখনোই সফল হবে না।
ছাত্রনেতাদের মুক্তির উদ্দেশ্যে করা এই কর্মসূচীতে উপস্থিত ছিলেন গনস্বাস্থ্যের ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী, গণসংহতি আন্দোলন এর সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি, নাগরিক ঐক্যের আহবায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এর আইন বিভাগের অধ্যাপক ডঃ আসিফ নজরুল, অধ্যাপক দিলারা চৌধুরী, ভাষানী অনুসারী পরিষদের মহাসচিব রফিকুল ইসলাম বাবলু, আলোকচিত্র শিল্পী শহিদুল আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা নঈম জাহাঙ্গীর সহ ছাত্রনেতাদের পিতা-মাতাগন।
উপস্থিত গনস্বাস্থ্যের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডাঃ জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেছেন যে, " ছাত্র, যুব, শ্রমিক অধিকার পরিষদের নেতা ও কর্মীরা মানুষের অধিকারেত কথা বলেছে, তারা যৌক্তিক প্রতিবাদ করেছে।" তিনি আরো বলেন, মানুষের অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয় তবে আমি নিজেও এই ছাত্রনেতাদের মতো এই অপরাধে অপরাধী। তাহলে আমাকেও গ্রেফতার করে কারাগারে রাখুন। ছাত্র নেতাদের যখন মুক্তি দিবেন তখন আমাকেও মুক্তি দিয়েন। ঈদের আগেই ছাত্র নেতাদের মুক্তির দাবি জানিয়ে তিনি সরকারের কাছে প্রশ্ন রেখেছেন যে, " ওই ছাত্ররাকি কাউকে খুন করেছে? নাকি কাউকে ধর্ষন করেছে? নাকি চাদাবাজি, ছিনতাই করেছে?"
এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) নুরুল হক নুর জানান যে, " জনগন দেখেছে যে মতিঝিলে ছাত্র অধিকার পরিষদের শান্তিপূর্ন মিছিলে পুলিশ কিভাবে হামলা করেছে এবং ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতা ও কর্মীদের গ্রেফতার করেছে। " গ্রেফতারকৃত ছাত্র নেতাদের নির্যাতন করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি। তিনি আরো বলে যে, "যেসব পুলিশ ছাত্র নির্যাতনের নেতৃত্ব দিচ্ছে সরকার দলীয় লোকজন তাদের নানা ভাবে পুরষ্কৃত করছে। কিন্তু ছাত্র অধিকার পরিষদ অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করছে। "
কিছুদিন আগে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) এর সাবেক ভিপি ও বাংলাদেশ ছাত্র, যুব ও শ্রমিক অধিকার পরিষদের সমন্নয়ক নুরুল হক নুর গন মাধ্যমকে জানিয়েছেন যে, ২০২৩ সালে সম্পূর্ণ সতন্ত্রভাবে ৩০০ আসনে জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিবেন তার দল বাংলাদেশ গন অধিকার পরিষদ। সংগঠনটির বর্তমানে ৬ টি অংগ সংগঠন রয়েছে। সেগুলো হলোঃবাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ যুব অধিকার পরিষদ, বাংলাদেশ শ্রমিক অধিকার পরিষদ, প্রবাসী অধিকার পরিষদ, নারী অধিকার পরিষদ ও পেশাজীবি অধিকার পরিষদ।
এর কিছুদিন আগে বাংলাদেশ ছাত্র, যুব, শ্রমিক, প্রবাসী অধিকার পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা ও ডাকসুর সদ্য সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা করা হয়েছে। ঢাকার শাহবাগ থানায় রবিবার রাতে এই মামলা দায়ের করা হয়। বাংলাদেশ যুবলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আশরাফুল ইসলাম বাদী হয়ে রাত ৮ ঘটিকায় এই মামলা করেন।
আশরাফুল ইসলাম জানান যে, নুর ফেসবুকে বলেছে যে, আওয়ামী লীগের নেতাদের ৫ ওয়াক্ত নামাজের খবর নেই অথচ তারা আলেম -উলামাদের চরিত্র হরন করে।
নুরুল হক নুর এই বিষয়ে জানান যে, তার বিরুদ্ধে সরকারি দল থেকে এরকম ষড়যন্ত্রমূলক মামলা আগেও করা হয়েছে। এটা নতুন কিছু নয়।
নুরের বিরুদ্ধে সরকারি দল থেকে এর আগে ৭ টি মামলা করা হয়েছিল। এর কোন মামলাতেই নুরুল হক নুর দোষী সাব্যস্ত হয়নি। কোন কোন মামলাতে বাদীরা চার্জশিট দিতে পারে নি এখনো।