পিঠে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেধে অসুস্থ মাকে মটোর সাইকেলে হাসপাতালে নিলেন ছেলে

পিঠে অক্সিজেন বেধে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যাচ্ছেন জিয়াউল হাসান

 

পিঠে অক্সিজেনসিলিন্ডার

বেধে অসুস্থ মাকে মটোর

সাইকেলে হাসপাতালে

নিলেন ছেলেঃ




সারাদেশে চলছে লকডাউন। নানান জায়গায় যোগাযোগ করেও পাওয়া যায় নি অ্যাম্বুলেন্স। বন্ধ রয়েছে যানবাহন চলাচল। তাই অসুস্থ মাকে বাচাতে পিঠে অক্সিজেন এর সিলিন্ডার বেধে মটোর সাইকেলে করে মাকে নিয়ে গেলেন হসপিটালে। 



গত ১৭ই এপ্রিল শনিবারে বরিশালের মেট্রোপলিটন পুলিশের এক ট্রাফিক সার্জেন তৌহিদুল টুটুল ফেসবুকে এই ছবিটি পোস্ট করেন। অল্প সময়েই ছবিটি ভাইরাল হয়ে যায়। 


বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন জিরো পয়েন্ট থেকে ছবিটি তোলেন তিনি। তৌহিদ টুটুল জানান,  লকডাউনের কারনে বরিশাল-পটুয়াখালি সড়কে চেকপোস্ট বসানো হয়েছিল। দুপুর ২ঃ৪৯ মিনিটে একজন ব্যাক্তি মোটরসাইকেলে করে বরিশালের দিকে যাচ্ছিলেন। তার পিছনের তার অসুস্থ মা ছিল। আর তার অসুস্থ মাকে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া ছিল। লোকটি নিজের পিঠের সংগে অক্সিজেন সিলিন্ডার বেধে রেখেছিলেন। এসময় তাদের চেকপোস্টে আটকানো হয় নি। বরং দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছানোর সুযোগ করে দেওয়া হয়। 



পরে জানা যায় যে, অসুস্থ ওই নারী রেহানা পারভীন। কয়েকদিন আগে তার করোনা ভাইরাসের উপসর্গ দেখা দেয়। নলসিটি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তার করোনা টেস্ট করলে ১ সপ্তাহেও তারা রেজাল্ট দিতে পারে নি। পরে শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে তার করোনা টেস্ট করলে তার করোনা পজিটিভ আসে।  তার ছেলের নাম জিয়াউল হাসান। তিনি কৃষি ব্যাংকের ঝালকাঠি শাখার কর্মকর্তা। শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের ডাক্তারদের পরামর্শে রেহানা পারভীনকে বাড়িতেই কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছিল। পরে তার রক্তে অক্সিজেন লেভেল কমে আসায় তাকে সিলিন্ডারের মাধ্যমে অক্সিজেন সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শনিবার বিকালে তার তীব্র শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তার ছেলে উপায় না দেখে নিজের মটোর সাইকেলে পিঠে অক্সিজেন বেধে মাকে হাসপাতালে নিয়ে যান। 



বর্তমানে রেহানা পারভীন শের-ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজের করোনা ইউনিটে ভর্তি আছেন।