বগুড়ায় শহিদ মিনারে
ফুল দিতে গিয়ে
ছাত্রলীগের ধাওয়া
খেলেন সিরাজ এমপিঃ
বগুড়ায় ২১ ফেব্রুয়ারিতে সকাল বেলায় শহিদদের ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়ে ফেরার পথে ছাত্রলীগের ধাওয়া খেলেন বগুড়া জেলা শাখার বিএনপি এর আহবায়ক ও বগুড়া সদর(৬) আসনের সংসদ সদস্য এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ।
রবিবার ২১ এ ফেব্রুয়ারিতে শহিদ খোকন পার্কের শহিদ মিনারে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ফেরার পথে হামলা করার চেস্টা করে বগুড়া ছাত্রলীগ। এসময় বর্তমানের সংসদ সদস্য গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ সদর পুলিশ ফাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় কৃষকদল, যুবদলের তিনজন নেতাকর্মী ছাত্রলীগের হামলার শিকার হন। পরে পুলিশের সহযোগিতায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা চলে যায়। এমপি সিরাজ সহ অন্যান্য বিএনপির নেতাকর্মীরা তখন তাদের দলীয় কার্যালয়ে যান।
প্রত্যক্ষদর্শীদের ভাষ্যমতে সকাল পৌনে নয়টার দিকে এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ জেলা বিএনপির নেতা-কর্মীদের সংগে নিয়ে খোকন পার্কে শহিদ মিনারে ফুল দিয়ে ভাষা শহিদদের প্রতি সম্মাননা জানান। এরপর অধিকাংশ নেতাকর্মী খোকন পার্কের পশ্চিম পার্শের গেট দিয়ে হোটেলপট্টি হয়ে নবাববাড়ি সড়ক দিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে যান।
তবে মোহাম্মদ সিরাজ সহ জেলা বিএনপির সিনিয়র ৭-৮ জন নেতাকে সংগে নিয়ে সার্কিট হাউজের সামনে দিয়ে তাদের দলীয় কার্যালয়ে ফিরছিলেন। এসময় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে "রাজাকার " বলে ধাওয়া করে। হামলার আশংকায় তারা পুলিশের সহযোগিতায় নিকটবর্তী বগুড়া সদর পুলিশ ফাড়িতে আশ্রয় নেন। এসময় শ্রমিকদল বগুড়ার সহ-সভাপতি সামসুল হক এবং যুবদলের কর্মী মাসুম ও সোহাগকে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কাছে হামলার শিকার হন।
এরপর বগুড়া থানা পুলিশ ফাড়ির সামনে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজকে লক্ষ্য করে "রাজাকার" বলে স্লোগান দিতে থাকে। কয়েক মিনিট স্লোগান দেওয়ার পরে পুলিশের অনুরোধে তারা চলে যায়। এরপর তাদের সংগে শতাধিক বিএনপি নেতা-কর্মীরা যোগ দেন এবং একসঙ্গে ছাত্রলীগের বিরুদ্ধে স্লোগান দিতে দিতে তাদের দলীয় কার্যালয়ে ফিরে যায়।
বগুড়া জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি নাইমুর রাজ্জাক তিতাস এ ঘটনায় বলেন,
" বিএনপি নেতারা আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে কটূক্তিমূলক স্লোগান দেওয়ায় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা প্রতিবাদ জানিয়ে পাল্টা স্লোগান দিয়েছে মাত্র। "
এ বিষয়ে বিএনপির এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজ বলেন যে,
" একুশে ফেব্রুয়ারির মতো দিনে ছাত্রলীগ নামধারী ছেলেদের এমন আচরণ সত্যিই দুঃখজনক। "
সিরাজ এমপিকে লক্ষ্য করে রাজাকার স্লোগান দেওয়ার বিষয়ে তিনি বলেন যে,
" এ ধরনের শব্দ অতীতে কখনও কেউ আমাকে উদ্দেশ্য করে বলেনি। তারা কেন বলছে সেটা আমার বোধগম্য নয়। "
এ বিষয়ে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক আবুল কালাম আজাদ জানান যে,
" এমপি গোলাম মোহাম্মদ সিরাজসহ বিএনপি নেতারা শহীদ মিনার থেকে হেঁটে আসার সময় পেছন থেকে ধাওয়া করা হয়। তবে দ্রুত পুলিশি তৎপরতায় পরিস্থিতি শান্ত হয়।"
সিরাজ এমপি বাংলাদেশের একটি বড় বাস সার্ভিস এর মালিক। এই হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন বগুড়া জেলা ছাত্র যুব অধিকার পরিষদের নেতারা। তারা বলছেন গনতান্ত্রিক দেশে সকলের রাজনীতি করার অধিকার আছে। তাই এইসব ঘটনা গ্রহনযোগ্য নয়। এগুলো প্রকৃত গনতন্ত্রের পক্ষে বাধা।